December 27, 2024, 4:42 am
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: খুলনার কয়রায় দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪ নং কয়রা ও মহারাজপুর ইউনিয়নের মটবাড়ি গ্রামের সংযোগ স্থল শাকবাড়িয়া নদীর উপর এলাকাবাসী একটি ব্রীজ নির্মানের দাবী জানিয়ে আসলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সহ জনসাধারনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪ নং কয়রা ও মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের মধ্যে স্থল শাকবাড়িয়া নদীর উপর মানুষের চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। সাঁকোটি উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম নিজস্ব অর্থায়নে নির্মান করে দিয়েছেন। সাঁকোটি নির্মিত হওয়ায় দু’পারের মানুষের চলাচল অনেকটা সহজ হয়েছে। ২০০৯ সালে আইলায় প্রতাপস্বরনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মটবাড়ি গ্রামের সংযোগ স্থলের রাস্তা ভেঙ্গে দু’পারের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে ড্রামে করে মঠবাড়ি গ্রামের পূর্ব অংশের মানুষ ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা পারাপার হয়ে থাকে। অপরদিকে মঠবাড়ি গ্রামের পূর্ব পাড়ের মানুষ ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উপজেলা সদরে আসা-যাওয়ার জন্য একমাত্র বাঁশের সাঁেকাই ভরসা। সাঁকো পার হওয়া মঠবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুর সবুর ও ৪ নং কয়রা গ্রামের গৃহিনী সুফিয়া খাতুন বলেন, সাঁকোটি দিয়ে বৃদ্ধ ও শিশুদের মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় অনেকে দুর্ঘাটনার শিকার হয়েছে। স্কুলে ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। এ সাঁকোর স্থলে একটি ব্রিজ নির্মানের দাবী ভুক্তভোগি এলাকাবাসীর। মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ বলেন, দুই ইউনিয়নের সংযোগ স্থল শাকবাড়িয়া নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মান হলে কয়রা সদর ইউনিয়নের সাথে মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, দুপারের মানুষের চলাচলের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে বাঁেশর সাকো নির্মান করে দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী ৪ নং কয়রা ও মঠবাড়ি গ্রামের সংযোগ স্থল শাকবাড়িয়া নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মানের দাবি জানিয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।ল